“আজ বিকেলে রুমী ক্রিকেট খেলা দেখে তার বন্ধুদের বাসায় নিয়ে আসবে হ্যামবার্গার খাত্তয়ানোর জন্য।“
সবাই বুঝতে পারছেন আমি শহীদ জননীর জাহানার ইমামের কথা বলছি। আমার প্রিয় মানুষেদের তালিকায় রয়েছে জাহানারা ইমাম। যারা “একাত্তরের দিনগুলো” বইটা পড়েননি তারা কখনো জাহানার ইমামকে চিনতে পারবে না। আমি অনেক আগে থেকে বিভিন্ন বই পএিকায় জাহানার ইমামের কথা শুনিছি । শুনে আমি আগ্রহ করে কয়েকটা বই পড়ে ফেললাম অনেক ভাল লাগল.।একজন মা দেশের জন্য তার ছেলেকে কেমন করে উৎসর্গ করতে পারে তার বড় উহদারন তিনি।
তবে তাই হোক । হ্রদয়েকে পাথর করে,বুকের গহীন বহন বেদনার সংহত করে দু:খের নিবিড় অতলে ডুব দিয়ে তুলে আনি বিন্দু বিন্দু মুক্তোদানার মতো সকল নিযার্স। আবার আমরা ফিরে তাকাই আমাদের চরম শোক ত্ত পরম গৌরবে মন্ডিত মুক্তিযুদ্ধের সেই দিনগুলোর দিকে। এক মুক্তিযুদ্ধার মাতা , এক সংগ্রামী দেশপ্রেমিকের গৃহিনী,এক দৃঢ়চেতা বাঙালী নারী । তিনি জাহানারা ইমাম।
আজ জাহারনা ইমামের মৃত্যুবাষিকী । যে মা যুদ্ধপরাধীদের বিচারের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে গিয়েছিল তিনি আজ নেই । তবুত্ত তার চেতনা আছে আমাদের মাঝে। আমরাত্ত শহীদ জননীর মত চাই এই রাজাকার কুত্তার গুলো বিচার হউক.....!!! তবে কবে হবে সেই বিচার ............!!!!!! আজ দুই বছর হয়ে গেল..............সরকার বলছে বিচার দ্রুত করবে .....কিন্তু কই..............!!! কেন বিচার শুরু হচ্ছে না। শহীদ জননীর আত্না এখণো এই বাংলা ঘুরে বেড়ায় শুধু মাএ জানোয়ার রাজাকারদের বিচারের জন্য .....। মৃত্যুর আগে জাহানার ইমাম জাফর ইকবাল স্যারকে বলেছিল, “ এই দেশে মাটিতে একদিন না একদিন যুদ্ধপরাধীদের বিচার হবে” । এই কথা যেন সত্যি হয়।...
আমি সবাইকে একটা অনুরোধ করব একবার হলেত্ত “একাত্তরের দিনগুলো” বইটা পড়েন । দেখেন আমাদের দেশের ৭১ এর ইতিহাস.........একজন মায়ের সন্তান হারানের কান্নার ইতিহাস.........!!!
এখান থেকে বইটা ডাউনলোড করতে পারবেন-
এখানে ক্লিক করুন
{ধণ্যবাদ তমাল ভাইকে লিংকটা কষ্ট করে শেয়ার করার জন্য}
আর অনেককিছু লিখতে ইচ্ছা করছে কিন্তু লিখতে গিয়ে আমার হাত যেন থেমে যাচ্ছে। বারবার আমার মনের মধ্যে একটা তীব্র ঘৃনা আঘাত করছে ...............রাজাকারের বাচ্ছারা এখনো এই দেশের মাটিতে দেশের পতাকা উড়িয়ে দামি দামি গাড়িতে চড়ে.......আমার এই হ্রদয় কেমন করে এমন ঘটনা সহ্য করবে...........আমার যদি ক্ষমতা থাকত তাহলে আমি এই রাজাকারের বাচ্চা নিজামী,মুজাহিদেরকে গুলি করে মারতাম.....এরপর কুকুর দিয়ে তাদের খাত্তয়াতাম.........!!!
কিছুদিন আগে আমার ব্লগে একটা কবিতা লিখেছিলাম -
কার কথা লিখব?
তুসিন আহমেদ
আমি কার কথা লিখব?
যারা একাত্তরে প্রান দিয়েছে
যারা বাবা-মা হরিয়েছে
হরিয়েছে ছেলে – সন্তার আন্তীয !!
আমি কাদের কথা লিখব?
সে মা -বোনেরা হারিয়েছে সম্মান
তবু বেচেঁ আছে তারা আমাদের মাঝে
হ্যাঁ আমি তাদের কথাই লিখব গর্বস্বরে
কিন্তু আমি তাদের কথা কেমন করে লিখব?
আল-বদর , বাজারাক , আল -শামস্
লিখতে গেলে কলম থেমে যায়।
ঘৃণা !! ঘৃনা!! ঘৃনা !!!
স্বজাতি স্বজাতিকে এমন করতে পারে ছিলা না জানা
আজ ৪০ বছর পরে জানোয়ারা গর্ব চলছে
আর মাথা নিচু করে চলছে মুক্তিসেনারা
তা কি আমি মেনে নিতে পারি?
চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করে……..
ত্তরা যথন দেশের মাটি হাঁটে
আমার রক্ত যেন ছিটকে পড়ে।
ত্তদের বিচার হবে সেই আশায় আর কতদিন ……….???
সর্বশেষে একটাই কথা এই দেশে যেন দ্রুত রাজাকারদের বিচার হয়।
আর জাহানারা ইমামের আত্নার শান্তি কামনা করি।
তুসিন আহমেদ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন